বৃহস্পতিবার কলকাতার পথে “ছোট “
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, শ্যামপুর- অবশেষে আগামী বৃহস্পতিবার শতাব্দী প্রাচীন “ছোট” নৌকা শ্যামপুরের ডিহিমন্ডলঘাট থেকে নদীপথে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাটিকে আপাতত কলকাতা বন্দরে এনে রাখা হবে। পরে গুজরাটের ন্যাশানাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে এটাকে রাখা হবে। নৌকাটি গুজরাটের ন্যাশানাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে না যাওয়া প্রসঙ্গে নৌকা তৈরীর অন্যতম উদোক্তা ভারতের এনথ্রোপলজি বিভাগের গবেষক স্বরুপ ভট্টাচার্য্য জানান মিউজিয়ামটি এখনোও তৈরী হয়নি। তাই বর্তমানে কলকাতা বন্দরে এনে রাখা হচ্ছে। তারপরে মিউজিয়াম তৈরী হয়ে গেলে গুজরাটে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বরুপ বাবু জানান একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হল। নৌকাটিকে মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটা কম আনন্দের নয়। অনন্ত ভারবর্ষের লোকেরা ন্যাশানাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে গিয়ে তারা বাংলার হারিয়ে যাওয়া একটা নৌকা দেখতে পাবে এটা ভীষন আনন্দের ব্যাপার। সূত্রের খবর গত ১০ নভেম্বর শ্যামপুরের ডিহিমন্ডলঘাটের বাসিন্দা বছর ৭০ এর নৌকা শিল্পী পঞ্চানন মন্ডলের হাতে তৈরী ছোট নৌকা পরীক্ষামূলকভাবে নৌকা জলে ভাসানো হয়েছিল। যদিও তারপর দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস নদীর পাড়েই পড়ে ছিল এই নৌকা। অবেশেষে বৃহস্পতিবার নৌকা নিয়ে যাওয়া হবে ।
প্রসঙ্গত ইংল্যান্ডের সংস্থা ইএমকেপি ( এনডেঞ্জার্ড মেটেরিয়াল নলেজ প্রোজেক্ট) এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগে হারিয়ে যাওয়া শতাব্দী প্রাচীন এই ছট নৌকা তৈরী করা হয়েছে। ৩৫ ফুট লম্বা এবং ৯ ফুট চওড়া ও ৭/৮ ফুট উচ্চতার এই নৌকা তৈরী করতে সময় লেগেছে প্রায় একমাস। শ্যামপুরের নৌকা শিল্পী পঞ্চানন মন্ডল তার ৪ ছেলে অমল মন্ডল, মনিমোহন মন্ডল, দিলীপ মন্ডল এবং দীপকে মন্ডলকে নিয়ে নৌকাটি তৈরী করেছেন। বছর ৩০ আগে এই ধরনের নৌকা তৈরী করেছিলেন পঞ্চানন মন্ডল। নৌকা তৈরীর পুরো কাজ দেখাশোনা করছেন ব্রিটেনের এক্সটার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন পি কুপার, হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বসন্ত সিন্ধে এবং ভারতের এন্থ্রোপোলজি বিভাগের গবেষক স্বরূপ ভট্টাচার্য এবং বিট্রিশ এক বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র জিসান আলি শেখ।