নদীতে স্নান করতে নেমে উলুবেড়িয়ায় নিখোঁজ হয়ে গেল এক যুবক
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- বন্ধুর সাথে নদীতে স্নান করতে নেমে সাঁতার কাটার সময় নদীতে তলিয়ে গিয়ে নিঁখোজ হয়ে গেল এক যুবক। নিখোঁজ যুবকের নাম সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী (১৭)। বাড়ি রাজাপুর থানার বাসুদেবপুর হরিপাড়ায়। নিখোঁজ যুবক বাসুদেবপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। সৌমজিৎ এর সঙ্গে থাকা আদিত্য ভট্টাচার্য্য নামে অন্য এক যুবককে নৌকার এক মাঝি উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী স্থানীয় কালীমন্দিরে পুজো অর্চনা করে। কলকাতায় একটি দুর্গা পুজো মন্ডপে তার পুজো করতে যাওয়ার কথা। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ আদিত্য ভট্টাচার্য্য, সুশান্ত দোলুইয়ের সঙ্গে সৌম্যজিৎ একটি বাইকে চেপে ফুলেশ্বরের বিবির চড়ায় আসে। বাইকটিকে রাস্তার পাশে রেখে তিনজনে নদীর পাড়ে চলে যায়। সেখানে সুশান্তর কাছে নিজেদের জামা কাপড় ও ব্যাগ রেখে দুই যুবক নদীতে স্নান করতে নামে। এরপর দুজনে স্নান করার মাঝে সাঁতার কাটতে শুরু করে। আর সেই সময় দুজনেই জলের স্রোতে ভেসে যায়। ঘটনাটি দেখে সুশান্ত চিৎকার করলে এক মৎসজীবি আদিত্যকে উদ্ধার করতে পারলেও সৌম্যজিৎ নদীতে তলিয়ে যায়। পরে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দিলে বিকালে বিপযর্য় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে।
এদিকে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই নিখোঁজ সৌম্যজিৎ এর মা ও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সূত্রের খবর সৌম্যজিৎ এর বাবা কর্মসূত্রে গুজরাটে থাকে। এখানে মায়ের সঙ্গে থাকত সৌম্যজিৎ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য নদীতে তখন ভাঁটা চলায় জলে প্রচুর স্রোত ছিল। দুই যুবক নদীতে স্নান করতে নামার পর তারা জলে তলিয়ে যাচ্ছিল। একজনকে উদ্ধার করতে পারা গেলেও অন্যজন জলে তলিয়ে যায়।