ছাত্রকে শাসন, শিক্ষককে পেটালো অভিভাবক ও তার সঙ্গীরা

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, শ্যামপুর- ক্লাসে অমনোযোগী এগ ছাত্রকে  শাসন করেছিলেন বিদ্যালয়ের ইংরাজী শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। আর কেন শিক্ষক ছাত্রকে শাসন করেছেন এই অভিযোগে স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে বেধড়ক পেটালেন অভিভাবক ও তার সঙ্গীরা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুরের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠে। ঘটনায় আক্রান্ত শিক্ষক ৪ জনের নামে শ্যামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামপুর থানার পুলিশ সেখ মকবুল আলি ও সেখ বিলাল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে সোমবার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পরিয়ডে দশম শ্রেনীর ইংরাজী ক্লাস চলছিল। ক্লাস নিচ্ছিলেন ইংরাজী শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। সূত্রের খবর ইংরাজী ক্লাস চলাকালীন এক ছাত্র নিজে অমনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি অন্য ছাত্রছাত্রীদের ডিস্টার্ব করছিল। ঘটনায় শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের বিষয়টি নজরে আসলে তিনি ছাত্রটির কান মুলে দেন এবং তাকে ওঠবোস করতে বলেন। অভিযোগ ছাত্রটি শিক্ষকের মথামত ওঠবোস করার পর ক্লাসে বসে ক্লাস করে। এরপর আরোও একটা ক্লাস করে ওই ছাত্র।অভিযোগ এরপরেই  বিদ্যালয়ের টিফিনের সময় ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে অভিভাবকে ফোনে বিষয়টি জানায়।

অভিযোগ এরপরেই ওই ছাত্রের অভিভাবক দলবল নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে চড়াও হয়ে শিক্ষককে বেধরক মারধর করে। ঘটনার সময় অন্য শিক্ষকরা প্রসেনজিৎ বাবুকে বাঁচাতে এলে তাদের ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে এই মারধরের ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় প্রাক্তন ছাত্ররা। বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে প্রাক্তন বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষক শিক্ষিকারা। অন্যদিকে সোমবারের ঘটনার পর রীতিমত আতঙ্কিত আক্রান্ত শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। তিনি জানান সামান্য একটা কানমোলা থেকে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারছিনা। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুনাভ বাজানী  জানান সোমবার যেভাবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাতে সবাই যথেষ্ট আতঙ্কিত বলে জানান অরুনাভ বাজানী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *