উলুবেড়িয়ায় আগুনে পুড়ল ৩৭টি দোকান এবং ইনস্টিটিউট এন্ড লাইব্রেরী

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হযে গেলে উলুবেড়িয়া বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় থাকা ৩৭ টি দোকান। পাশাপাশি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল লেলিহীন উলুবেড়িয়ার শতাব্দী প্রাচীন উলুবেড়িয়া ইন্সটিটিউট এন্ড লাইব্রেরী। সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাত ১ টা নাগাদ উলুবেড়িয়া পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের লকগেট মোড় উলুবেড়িয়া বাজার এবং ফুলেশ্বর ১১ ফটকে একের পর এক দোকানে আগুন লাগে। দোকানগুলিতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় চোখের নিমেষে দোকানগুলি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে দোকানগুলি। পাশাপাশি উলুবেড়িয়া বাজারে থাকা ১২১ বছরের পুরানো  উলুবেড়িয়া ইনস্টিটিউট এন্ড লাইব্রেরীও আগুনের গ্রাসে চলে যায়। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রতিষ্টানের আসবাবপত্র সহ মূল্যবান বই ও নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর প্রাথমিকভভাবে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। পরে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে ঘন্টাখানের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। যদিও ততক্ষনে দোকানগুলি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।

শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় গিয়ে দেখা গেল চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে পোড়া জিনিষপত্র। ব্যবসায় ক্ষতি হয়ে মাথায় হাত ব্যাবসায়ীদের। প্রতিটি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য আগুনে তাদের প্রত্যোকের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ পরিকল্পনা করেই রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। অন্যদিকে আগুনে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন উলুবেড়িয়া ইনস্টিটিউ এন্ড লাইব্রেরী। প্রতিষ্টানের জানালা দরজা থেকে ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিষ পুড়ে গেছে।

অন্যদিকে এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস,ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অভয় দাস জানান আগুন লাগার ঘটনাটি ম্যান মেড।  আমরা পুলিসকে বলেছি ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দিতে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আছি বলে জানান অভয় দাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *