আবাস যোজনার তালিকায় দূর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- আবাস যোজনায় তালিকা খতিয়ে দেখার কাজে দূর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উলুবেড়িয়া বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলুপাড়ায়। বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনায় এক আশা কর্মী ও এক পঞ্চায়েত কর্মীকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষন আটকে থাকার পর উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশা কর্মী সহ পঞ্চায়েত কর্মীকে উদ্ধার করে। জানা গেছে সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আবাস প্লাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সেইমত উলুবেড়িয়া দক্ষিন বিধানসভার বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতেও এই তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ করছেন আশা কর্মীরা। আর আশা কর্মীদের এই কাজেই স্বজন পোষণ সহ দূর্নীতির অভিযোগ তুলল গ্রামবাসীরা।
আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার হেলুপাড়ায় তালিকা নিয়ে আসা এক আশা কর্মী ও পঞ্চাযেত কর্মীকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘক্ষন আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। তারা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। গ্রামবাসীদের আভিযোগ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি না গিয়েই বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতে বসেই তালিকা তৈরী করছে। তবে পঞ্চায়েত অফিসে বসেই তালিকা যাচাইয়ের গ্রামবাসীদের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও আটক আশা কর্মী কাঞ্চন মল্লিকের দাবি বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতে আশা কর্মীরা যেভাবে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বসে তালিকা যাচাইয়ের কাজ হচ্ছে সেইভাবেই আমি ও করেছি।
অন্যদিকে পঞ্চায়েতে বসে তালিকা তৈরীর কথা অস্বীকার করেছেন বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমিনা বেগম। তার অভিযোগ গ্রামবাসীরা নয় বামফ্রন্টের কর্মীরা আশা কর্মীকে আটকে রেখেছিল। আবাস যোজনায় নাম থাকা উপভোক্তাদের তালিকা যাচাই করতেই আশা কর্মীরা গ্রামে যেতে তাদের আটকে রেখেছে বামফ্রন্টের কর্মীরা বলে অভিযোগ করেন আমিনা বেগম। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের উলুবেড়িয়া দক্ষিন লোকাল কমিটির সাধারন সম্পাদক জামিউস শরিয়াত মল্লিক। তিনি অভিযোগ করেন পঞ্চাযেত থেকেই এই তালিকা তৈরী করে পাঠানো হয়েছে বলেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এর সঙ্গে বামফ্রন্টের কোন সর্ম্পক নেই।