শ্যামপুরে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, শ্যামপুর- থ্যালাসেমিয়া রোগের থেকে আগামী প্রজন্মকে মুক্ত করতে গেলে বিয়ের আগে সকলের থ্যালাসেমিয়া বাহক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়া বাহক দুজনের যাতে বিয়ে না হয় সেই আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামপুরের মণিরামপুরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করলেন গৃহবধূ থেকে কলেজ পড়ুয়া। দু’জন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হবে। সেই কারণে বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া বাহক পরীক্ষা করানোর আর্জি নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু রক্তকরবীর সদস্যরা।করোনার সময়কালে রক্ত সংকট মোকাবিলাতে রক্তদাতাদের সমবেত প্ল্যাটফর্ম ব্লাড ডোনার তৈরী হয়েছিল। থ্যালাসেমিয়ার মতন জিনঘটিত রোগের হাত থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষার তাগিদ উপলব্ধি করেই রক্তদানের পাশাপাশি, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা, শিক্ষার আলো বিস্তারের সঙ্কল্পে ব্লাড ডোনার সদস্যদের উদ্যোগে নতুন আঙ্গিকে তৈরি হয়েছে রক্তকরবী। সংগঠনের সদস্যা গৃহবধূ বাসন্তী বেরা। বাসন্তী জানান ”সচেতনতাই পারে থ্যালাসেমিয়ার থেকে আগামী প্রজন্মকে থ্যালাসেমিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে।
রক্তকরবীর সম্পাদক শাশ্বত পাড়ুই জানান রক্তদান শিবির নিয়ে বিভিন্ন এলাকাতেও বেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেও থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার প্রচার সেইভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই আগামী প্রজন্ম শুধু সচেতনতার অভাবেই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়েছে। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। একবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হলে সারা জীবন ধরে কিভাবে রক্তের জন্য দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় মা বাবকে। সেই কারণে বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করালে থ্যালাসেমিয়া শিশুর জন্ম আটকানো সম্ভব।