দুর্গা পুজোয় উৎসবের চেহারা লাক্সেমবার্গে

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, হাওড়া-বিদেশে প্রবাসী বাঙালীদের দুর্গা পুজো নিয়ে প্রতিবছর একটা আলাদা উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। যেটা এবারে পশ্চিম ইউরোপের লাক্সেমবার্গে হয়েছিল। এখানকার দেবীপক্ষ লাক্সেমবার্গ অর্গানাইজেশন এই প্রথম দুর্গা পুজোর আয়োজন করল। স্বভাবতই সেই কারণে এবার পুজোর কয়েকদিন এখানে উৎসবের চেহারা নিয়েছিল। পুজো উদোক্তাদের দাবিমত কযেক মাস আগেই উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব চন্দ্রের হাতের তৈরী ফাইবারের দূর্গা প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছিল লাক্সেমবার্গে। এরপর পুজোর কয়েকদিন আগে পুজোর পুরোহিত শুভাশিষ ব্যানার্জীর সঙ্গে ১০ ইঞ্চির মাটির দূর্গা প্রতিমা ও পৌছে গিয়েছিল লাক্সেমবার্গে। আর তারপরেই ধূমধাম করে দূর্গা পুজো করল দেবীপক্ষ লাক্সেমবার্গ অর্গানাইজেশন।

এখানে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত শাস্ত্র মতে পুজো পাঠ করার পাশাপাশি বুধবার পুজোর শেষে ছোট মাটির প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। পুজোর কয়েকদিন পুজোর যোগাড় থেকে অঞ্জলী দেওয়া. মায়ের ভোগ রান্না করা থেকে ভোগ বিতরন করা সব কিছুই নিজেদের হাতে সামলেছে এখানকার প্রবাসী বাঙালী রমনীরা। তবে শুধু পুজো নয় পাশাপাশি পুজোর কয়েকদিন দুইবেলা বিভিন্ন পদের খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করেছিল দেবীপক্ষ লাক্সেমাবার্গ অর্গনাইজেশন।

প্রথম বছর দুর্গা পুজোর আয়োজন সর্ম্পকে পুজো কমিটির সভাপতি ধৃতি সুন্দর অধিকারী জানান এখানে বসবাসকারী ৮টি পরিবার মিলে এখানে দুর্গা পুজো করার পরিকল্পনা করি। সেইমত ঠাকুর বায়না দেওয়া থেকে পুরোহিত ঠিক করা সবকিছুই সময়মতো করায় কোন সমস্যা হয়নি। তবে কলকাতা থেকে এত দূরে প্রতিমা আনা নিয়ে একটা চিন্তা ছিল সেটা মায়ের আর্শীবাদে সুষ্ঠভাবে মিটেছে। তিনি জানান তবে শুধু প্রতিমা নয় ফুল থেকে মিষ্টি এমনকি পুজোর বাজার ও কলকাতা থেকে আনতে হয়েছে। ধৃতি অধিকারী জানান ষষ্ঠী রাত থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিবেলায় ১০০/১৫০ জন মানুষ একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছে এবং আমাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আনন্দ করেছে। তার মতে ছোটবেলা থেকে কলকাতায় দূর্গা পুজোর যে উন্মদনা দেখেছি সেই ঐতিহ্যকে বজায় রেখে লাক্সেমবার্গে পুজো করাটা আমাদের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে মায়ের আর্শীবাদে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ জয় করতে পেরেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *