উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- যদি দেখেন রাস্তা দিয়ে কেউ যাচ্ছে আর দুটো বাঁদর তার পিছনে তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে লাফাতে যাচ্ছে। তাহলে ভাববেন যিনি যাচ্ছেন তিনি জেপি নাড্ডা। আর বাঁদর দুটোর একজন শুভেন্দু একজন সুকান্ত। মঙ্গলবার ফুলেশ্বর বাসর্ষ্টান্ডে তৃণমূলের এক প্রতিবাদ সভা থেকে এইভাবেই শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে বাঁদর বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। পাশাপাশি গত রবিবার ফুলেশ্বর বাসর্ষ্টান্ডের বিজেপির কর্মসূচিকে বাঁদর খেলা ও বিরোধী দলনেতাকে বাঁদরের সঙ্গে তুলনা করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া পূর্ব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই সভা থেকেই কুনাল ঘোষ বিজেপির পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এদিন কুনাল ঘোষ বলেন বাঁদর খেলা যাবে আসবে। দুই টাকা এক টাকা দিয়ে দেবেন, কলা দেবেন, ভেঞ্চি কেটে চলে যাবেন। যেমন বাঁদর খেলা যায়, তেমন যাবে এইতো বিজেপি। শুভেন্দু সম্পর্কে কুনাল ঘোষ বলেন তৃণমূলে থেকে সমস্ত সুবিধা আদায় করার পাশাপাশি নানা কুকীর্তি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ আসছিল। তারপর নিজের পিঠ বাঁচাতে শুভেন্দু বিজেপির জুতো পালিশ করে ওদের দলে ঢুকেছে।
কুনাল ঘোষ বলেন যে নিজের বাবার মন্ত্রিত্ব সহ্য করতে পারে না ওর থেকে স্বার্থপর কুলাঙ্গার বেইমান কেউ হতে পারে না। তিনি বলেন আগামী পঞ্চায়েত বা অন্যান্য নির্বাচনে যাতে লোকেরা বিজেপির হয়ে না দাঁড়ান। সেজন্য তাদের ভাবতে শেখাতে হবে ভালোবেসে। জি এস টি প্রসঙ্গে নিয়ে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে কুনাল ঘোষ বলেন দিলীপ ঘোষের উপরে জিএসটি বসানো উচিত ছিল। কারণ তিনি তো সোনার কারখানা। তিনি সুকান্ত মজুমদারকে ট্রেনি সভাপতি বলে ও বলেন।
এদিনের এই প্রতিবাদ সভায় একাধিক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেয়। এদিনের এই প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায়, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বিধায়ক সমীর পাঁজা, হাওড়া গ্রামীন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক অরুনাভ সেন, বিধায়ক বিদেশ বসু, বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি, বিধায়ক সুকান্ত পাল, বিধায়ক গুলশান মল্লিক, বিধায়ক প্রিয়া পাল, উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস, ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান সহ অন্যান্য তৃণমুল নেতৃত্ব। এদিন উলুবেড়িয়া পুরসভার সামনে থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে ফুলেশ্বর বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।