জগৎবল্লভপুরে দঃসাহসিক ডাকাতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, জগৎবল্লভপুর- বাড়ির কোলাপসিবেল গেটের তালা ভেঙে বাড়ির সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনার গহনা সহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল ৬ জনের একটি ডাকাতদল। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে জগৎবল্লভপুর থানার কালীতলা বাজারে। ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে শনিবার ভোর রাত ৩টে নাগাদ ৬ জনের একটি ডাকাতদল কালীতলা বাজারের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পরিবহন দপ্তরের কর্মী প্রভাস ঘোষের বাড়িতে হানা দেয়। দুস্কৃতীরা বাড়ির পাঁচিল টপকে দোতলায় ওঠে পিছনদিকে থাকা কোলাসিপবেল গেটের দুটি তালা ভেঙে এবং একটি কাঁচের দরজা ভেঙে ৫ দুস্কৃতী বাড়ির ভিতরে ঢোকে। ১ দুস্কৃতী বাইরে পাহারায় থাকে। অভিযোগ দুস্কৃতীরা গামছা দিয়ে মুখে ঢেকে প্রভাস বাবুর ঘর ঢোকার পরেই তার কাছে আলমারির চাবি চায়। তিনি চাবি দিতে গড়িমাসি করলে দুস্কৃতীরা খিল দিয়ে তাকে ব্যাপক মারধর করে। দুস্কৃতীদের মারে প্রভাসবাবু পায়ে ও হাতে চোট পান।
এদিকে সেইসময় প্রভাসবাবুর স্ত্রী দুস্কৃতীদের বাধা দিতে এলে তার চোখেও ঘুঁষি মারে দুস্কৃতীরা। এমনকি মায়ের চিৎকারে মেয়ে শিল্পা ছুটে এলে দুস্কৃতীরা লোহার রড দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে আলমারির চাবি নিয়ে আলমারির ভিতর থেকে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার সোনার গহনা ও নগদ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রায় ৪৫ মিনিট লুটপাট করার পর দুস্কৃতীরা তিনজনের হাত পা মুখ বেঁধে পালিয়ে যায়। প্রভাসবাবুর মেয়ে শিল্পা ঘোষ জানান শনিবার ভোর রাতে মায়ের চিৎকারে মায়ের ঘরে গিয়ে দেখি ডাকাতদলের সদস্যরা বাবা ও মাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মেরে মাথা ফাটিযে দেয়। তিনি জানান ওরা নিজেদের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলছিল। তিনি জানান ডাকাতরা চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষন পর আমি নিজের ও বাবা মায়ের বাঁধন খুলে আত্মীয়দের ফোন করলে তারা আসে। শিল্পা অভিযোগ করেন ডাকাতির পর জগৎবল্লভপুর থানায় ফোন করলেও কেউ ফোন না করায় শেষে ১০০ নম্বর ডায়াল করলে ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পুলিস বাড়িতে আসে। অন্যদিকে ফোন না ধরা প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (হেডকোয়ার্টার) অলকনন্দা ভাওয়াল জানান ঝড়বৃষ্টির কারণে ল্যান্ড লাইনে একটা সমস্যা হয়েছিল। যদিও পরে আমাদের জেলা কন্ট্রোলরুম থেকে জানানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল। তিনি জানান ইতিমধ্যে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।