ঘরে ফিরল সোনার ছেলে
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, পাঁচলা- সোমবারের পর মঙ্গলবারের ভোর থেকে পাঁচলার দেউলপুরের অচিন্ত্য শিউলির বাড়ির সামনে মানুষের লম্বা লাইন। তারপর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা একবারের জন্য সোনার ছেলেকে সামনে থেকে দেখা। তবে শুধু চোখের দেখাই নয় সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার। আর সেই তালিকায় কে নেই শিশু থেকে কিশোর কিশোরী, গৃহবধূ থেকে কাকা কাকিমা। তবে না এদিন কাউকেই নিরাশ করেননি অচিন্ত্য। প্রায় সকলের সঙ্গেই সেলফি তুলেছেন।আর যার জেরে সোমাবার রাতের পর মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খেতেও অচিন্ত্যর বিকেল গড়িয়ে যায়।
সোমবার অচিন্ত্যকে বিমানবন্দর থেকে আনতে গিয়েছিলেন দাদা অলোক শিউলি এবং অচিন্ত্যর প্রথম কোচ অষ্টম দাস। রাত ১১ নাগাদ অচিন্ত্য দেউলপুরে পৌঁছাতেই উল্লাসে ফেটে পড়েছিল জনতা। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, বাজি ফাটিয়ে, শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল সোনার ছেলেকে। অচিন্ত্য প্রথমে কোচ অষ্টম দাসের বাড়িতে যায় পরে নিজের বাড়িতে আসে। সেখানে মা পূর্ণিমা শিউলি বরণ করে ছেলেকে ঘরে তোলেন। পরের ছেলের পছন্দ মত কড়াইশুঁটির কচুরি আর চানা মশলা খেতে দেন। সোমবারের পর মঙ্গলবারেও দুপুরে অচিন্ত্যের জন্য রান্না হয়েছিল মুরগির মাংসের ঝোল আর ভাত।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে অচিন্ত্যকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়িতে যান সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, বিধায়ক গুলশান মল্লিক। পরে বিকেলে অচিন্ত্য কে নিয়ে দেউলপুর গ্রামে শোভাযাত্রা বার করে রামের লোকেরা। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতাজি সংঘের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।।
অন্যদিকে এদিন অচিন্ত্য বলেন তার পরবর্তী লক্ষ অলিম্পিক। তিনি জানান সোনার পদক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট খুব ভালো লেগেছে। অচিন্ত্য জানায় তার বন্ধু রুপোর পদক জয় পর সেই রাজ্যটিকে তাকে আর্থিক সাহায্য করা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আর্থিক সাহায্য করা হয়নি। তবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তার সঙ্গে কথা বলবেন বলে কথা দিয়েছেন বলে জানান অচিন্ত্য শিউলি।