লক্ষী পুজোতেও ফুলের বাজার অগ্নি মূল্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- রাজ্যে সাম্প্রতিক নিম্নচাপজনিত বর্ষনে রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া,নদীয়া,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার ফুলচাষ ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সেই কারণে দুর্গাপূজাতে পদ্ম সহ সমস্ত ফুলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। লক্ষ্মী পুজোতে ও ফুলের দাম অগ্নি মূল্য। কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট,দেউলিয়া,কেশাপাট প্রভৃতি পাইকারী ফুলবাজারে চড়া দামে ফুল বিক্রি হয়েছে। রজনীগন্ধা ৩৫০টাকা প্রতি কেজি দরে, বেল ৯০০ টাকা,জুঁই ১১০০ টাকা, দোপাটী ২০০ টাকা, অপরাজিতা ৩০০ টাকা, লাল গাঁদা ৮০ টাকা, হলুদ গাঁদা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পদ্ম ৪০ টাকা, জবা ৭০ পয়সা, গোলাপ ৬ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লাল গাঁদার মালা ১৫-২০টাকা, হলুদ গাঁদার মালা ২৫ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে।
সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, একদিকে বর্ষার সময় প্রচন্ড গরম, তারপর বেশ কয়েকদিন ধরে মেঘলা আবহাওয়ার কারনে ফুলের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছিল। তার উপর বন্যা ও সাধারন বৃষ্টিতে উপরোক্ত জেলার বিভিন্ন ব্লকগুলির ফুলবাগানে জল জমে ফুলের চাষ ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। যার প্রভাবে দুর্গা ও লক্ষীপূজায় ফুলের যোগানে বিঘ্ন ঘটেছে। সে কারনে ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। নারায়ণবাবু বলেন, আগামী কালীপূজা পর্যন্ত ফুলের দাম প্রায় একই রকম থাকার সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মী পূজার আগে ফলের দামও উর্ধ্বমুখী। আপেল প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, নাশপাতি ২০০ টাকা কেজি, শাকালু ১২০ টাকা কেজি,আঙুর ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।