বন্যার কবলে উদয়নারায়ণপুর ও দীপাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উদয়নারায়ণপুর- ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকা। জানা গেছে ডিভিসির ছাড়া জল মঙ্গলবার রাত থেকেই উদয়নারায়ণপুরে টোকাপুর, কুরচী শিবপুর, ঘোলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বাঁধ উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদয়নারায়ণপুর ডিহিভুরসুট রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই বন্যা কবলিত এলাকায় পৌছে যান উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। আসেন হাওড়ার জেলাশাসক দিপাপ প্রিয়া পি, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাথী ভাঙ্গালীয়া।
এদিন বিধায়ক বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি দূর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন ডিভিসি জল ছাড়লেও অন্যবারের তুলনায় এবারে বন্যার প্রকোপ অনেকটাই কম। এখনোও পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুরের ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ১৭টি ত্রান শিবির খোলা হযেছে।
অন্যদিকে বন্যার কবলে পড়েছে দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকা। দীপাঞ্চলের রাস্তা ঘাট জমি পুকুর সব জলের নীচে চলে গেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর দীপাঞ্চলের ১৩৪০ হেক্টর জমির ফসল এবং ১৩০ হেক্টর জলাশয়ের মাছ নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লি থেখে ফিরেই বন্যা কবলিত এলাকায় পৌছে যান আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল।
বিধায়ক বলেন দীপাঞ্চল ছাড়াও ডিভিসির ছাড়া জলে নদী তীরবর্তী বিনোলাকৃষ্ণবাটী , নওপাড়া, তাজপুর, ঝামটিয়া অমরাগোড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় দূর্গত মানুষদের সাহাযার্থে এনডিআরএফের দুটি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দীপাঞ্চলে বিদ্যুত পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখার পাশপাশি দীপাঞ্চলের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান বিধায়ক সুকান্ত পাল।