বিপ্লবী হাবু মিত্রকে স্মরণ
নিজেস্ব প্রতিরনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া- সালটা ১৯১৪। বিপ্লবীদের অস্ত্রের প্রয়োজন। বিপ্লবীদের কাছে খবর গেল কলকাতা বন্দর থেকে সাতটি গাড়ি করে মাওজার পিস্তল ও কার্তুজ ডালহৌসির মেসার্স আরবি রডা সংস্থার গোডাউনে যাবে। আর সেই অস্ত্র সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ল হাওড়ার আমতার রসপুর গ্রামের যুবক শ্রীশ মিত্র ওরফে হাবু মিত্রের উপর। সেইমত ২৬ আগষ্ট কলকাতা বন্দর থেকে সাতটি গাড়ি করে মাওজার পিস্তল ও কার্তুজ সংস্থার গোডাউনে আসার মাঝপথে অস্ত্র বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন রসপুরের শ্রীশ মিত্র।
পরেরদিন ব্রিটিশ পুলিশ বৌবাজারে বিপ্লবীদের আস্তানায় হানা দিয়ে রিভালবার কার্তুজের বেশীরভাগটাই উদ্ধারের পাশাপাশি কয়েকজন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করেছি। যদিও হাবু মিত্রের নাগাল পায়নি বিট্রিশ পুলিশ। তার খোঁজে পুলিশ রসপুরে বাড়িতে এবং আমতায় তার মামার বড়িতে হানা দিলেও তার খোঁজ পায়নি। জানা গেছে তারপর থেকেই আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার উলুবেড়িয়ার জগৎপুর আনন্দ ভন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করা হয়। হাবু মিত্রের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পাশাপাশি স্কুলের বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা দেশাত্মবোধক গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অজয় দাস জানান ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও এই বিপ্লবীর নাম জানলেও তার জন্মসাল উদ্ধার বা বাস্তভিটে রক্ষার কোন উদ্যেগ নেই সরকারের। রসপুর গ্রামে শ্রীশ মিত্রের স্মৃতি স্তম্ভ থাকলেও তার কোন মূর্তি নেই। আমতা থেকে যে রাস্তাটি পানপুর মোড়ের কাছে জাতীয় সড়কে এসে মিশেছে সেখানে বীর বিপ্লবীর একটি আবক্ষ মূর্তি বসানোর পাশাপাশি হাবু মিত্রের জন্মভিটে সংস্কার করে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার আবেদন জানান অজয় দাস।