বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো বন্ধ, পুজোর আয়োজন করল সেলিম
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া – বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেক দূরে থাকেন।পুজোর দিন সকালে বিদ্যালয়ে এসে পুজোর যোগাড় করে পুজো করা সম্ভব নয়। সুতরাং এই বছর বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজো হবেনা। দিন কয়েক আগে এই অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কালীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যদিও বিদ্যালয়ের কচিকাঁচাদের কথা চিন্তা করে এগিয়ে এলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্র তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সেলিম মোল্লা। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের ডেকে বিদ্যালয়ে পুজোর আয়োজন করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো। বাড়ি,ক্লাব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলিতেও পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র ছিল উলুবেড়িয়া পূর্ব কালীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পুজো বন্ধ ছিল এখানে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুজো বন্ধের খবর পৌঁছে যায় উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্র যুব তৃণমূল সভাপতি সেলিম মোল্লার কাছে। তৎক্ষণাৎ তিনি গ্রামের লোকেদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে পুজোর আয়োজন করেন। ধূমধাম করে পুজো হয় বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পুজো বন্ধ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য আমরা সকালেই খবর পাই বিদ্যালয়ের পুজো বন্ধ আছে। এরপর আমরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করতে উনি জানান শিক্ষকরা অনেক দূর থেকে আসায় এবং অভিভাবকরা পুজোর দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই সেলিম মোল্লা এবং আমরা উদ্যেগ নিয়ে পুজোর আয়োজন করি। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে পুজো বন্ধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলু দাস। তিনি বলেন বিদ্যালয়ে স্থানীয় কোন শিক্ষক নেই। সকলে দূর থেকে আসেন। তিনি দাবি করেন অভিভাবকদের মিটিং এ অভিভাবকের কাছে পুজোর আয়োজনের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। যদিও কেউ সেই দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় এবং আমার নিজের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে পরে আজ একজন শিক্ষক বিদ্যালয় গিয়ে পূজোর আয়োজন করেছে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে পুজোর আয়োজন করা সম্পর্কে সেলিম মোল্লা জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক পুলক রায়ের নির্দেশে গ্রামবাসী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে পুজোর আয়োজন করেছি।