খুলল গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র, হতাশ পর্যটকেরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, গড়চুমুক- দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর অবশেষে বৃহ্স্পতিবার থেকে খুলে গেল হাওড়া জেলার অন্যতম গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র। তবে পর্যটন কেন্দ্র খুললেও পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা মিনি জু না খোলার পাশিপাশি ভিতরে সেভাবে কোন পরিকাঠামো না থাকায় ক্ষোভে ফেটেও পড়লেন পর্যটকেরা। অন্যদিকে পর্যটকদের ক্ষোভের কথা স্বীকার করে নিলেও পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের দাবি মিনি জু না খোলার কারনে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
দামোদর ও হুগলী নদীর সংযোগস্থলে পড়ে উঠেছে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও ভিতরে থাকা মিনি জু পর্যটকদের কাছে আকর্ষনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। যদিও গত কয়েকবছরে বিভিন্ন কারণে একাধিকবার পর্যটন কেন্দ্রটি খোলা বন্ধ থাকার পর পর্যটন কেন্দ্রটি রক্ষনাবেক্ষন এবং মিনি জুয়ের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য গত ৩ মে থেকে পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্রটির পরিকাঠামো উন্নতির জন্য সম্প্রতি পর্যটন কেন্দ্রের একটি অংশকে বার্ষিক ১৮ লক্ষ টাকার চুক্তিতে ১৫ বছরের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয় এবং মিনি জুয়ের অংশটি বন দপ্তরের হাতে রাখা হয়। আর গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র বেসরকারি সংস্থার হতে দেওয়ার পরেই পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য ১০টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ টাকা হয়েছে। শুধু তাই নয় আগে পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা ডিয়ার পার্ক ঘুরতে কোন টাকা না লাগলেও মিনি জুয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে ২৫ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে পর্যটন কেন্দ্র খোলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পর্যটকেরা ভীড় জমাতে থাকেন পর্যটন কেন্দ্রে। তবে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের পর মিনি জু দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে পর্যটকেরা। অধিকাংশ পর্যটকদের অভিযোগ কোন পরিকাঠামো ছাড়াই পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ ১৫টাকা টিকিট কেটে শুধুমাত্র রাস্তায় হাঁটা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। মিনি জু না খুলে পর্যটন কেন্দ্র খোলা উচিত হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য পর্যটন কেন্দ্রটিকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ চলছে। র্তাদের দাবি পর্যটকদের জন্য পর্যটন কেন্দ্রের ভিতর বিনামূল্যে ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা থাকছে। অন্যদিকে বন দপ্তর সূত্রে খুব শীঘ্রই মিনি জু খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।