১৬ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা. মৃত ৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, উলুবেড়িয়া-আত্মীয়ের পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দুই শিশু সহ ৩ জনের। বুধবার সকালে র্মমান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ নং জাতীয় সড়কে উলুবড়িয়া থানার নিমদীঘী মোড়ে। মৃতেরা হল পাপিয়া মন্ডল (২৪), পৃথ্বীশ মন্ডল (৫) এবং বিদিশা মন্ডল (৮)। মৃতেরা প্রত্যোকেই রাজাপুর থানার জোয়ারগোড়ি এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় পাপিয়া মন্ডলের স্বামী দীপ মন্ডল আহত অবস্থায় উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। উলুবেড়িয়া থানার পুলিস মৃতদেহ তিনটি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর ঘাতক ডাম্পারটি চালক ডাম্পার নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বুধবার বাউড়িয়া ঘোষালচক কেঠোপোল এলাকায় দীপ মন্ডলের এক আত্মীয়ের পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান ছিল। এদিন সকালে দিদি কনকলতা সাঁতরা, জামাইবাবু সুশান্ত সাঁতরা একটি স্কুটিতে এবং একটি বাইকে দীপ তার স্ত্রী পাপিয়া মন্ডল, ছেলে পৃথ্বীশ মন্ডল এবং ভাইঝি বিদিশা মন্ডলকে নিয়ে বাউড়িয়ার উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর সকাল ১১ টা নাগাদ উলুবেড়িয়া নিমদীঘী মোড়ে একটি মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কেনে দীপ। এরপর নিমদীঘী মোড় থেকে বাউড়িয়ার উদ্দ্যেশে রওনা দেওয়ার সময় নিমদীঘি মোড়ে পুলিসের কিয়স্কের সামেন দাঁড়িয়ে থাকা অটোকে পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার বাইকের হ্যান্ডেলে ধাক্কা মারে।
দুর্ঘটনায় বাইক সহ ৪ জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়ে। দীপ রাস্তার বাম দিকে পড়লেও পাপিয়া,পৃথ্বীশ এবং বিদিশা রাস্তার ডান দিকে পড়ে। ঘটনায় ডাম্পারের চাকা তিনজনের মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় দীপকে উদ্ধার করে জাতীয় সড়ক লাগোয়া উলুবেড়িয়া ই এস আই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। জাতীয় সড়কের দুটি লেন স্তব্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় উলুবেড়িয়া থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। বেশ কিছুক্ষন পথ অবরোধ চলার পর পুলিসের হস্তক্ষেপে জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত হয় এবং মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিস।
অপরদিকে এদিন সকালে জোয়ারগোড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল এক চিলতে টালির চালের মাটির বাড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। দুর্ঘটনায় দীপ যেমন তার স্ত্রী ও ছেলেকে হারিয়েছে সেইরকম বাপন ও তার একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য বুধবার দীপ বাপনের শ্যালকের বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। আর তারপরেই এই দুর্ঘটনা।