গৃহবধূকে খুনের আভিযোগ. গ্রেপ্তার স্বামী
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া নিউজ ২৪, আমতা- পনের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করে টাঙিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গৃহবধূর স্বামী সহ শশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে আমতা থানার গাজীপুরে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত গৃহবধূর নাম সাফিয়া খাতুন (২৭)। ঘটনায় গৃহবধূর পরিবার আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমতা থানার পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সেখ সানোয়ার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আমতা থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে বছর ৫ আগে উলুবেড়িয়া গদাইপুরের বাসিন্দা সাফিয়ার সঙ্গে আমতা থানার গাজিপুরের বাসিন্দা সেখ সানোয়ার আলীর বিয়ে হয়। সাফিয়ার পরিবার সূত্রে খবর বিয়ের সময় মেয়ের শশুরবাড়ির দাবিমত সবকিছু যৌতুক দেওয়া হয়। মৃত গৃহবধূর ভাই সেখ নিজামউদ্দিন জানান বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই দিদির শশুরবাড়ির লোকেরা টাকা আনার জন্য দিদিকে চাপ দিতে থাকে। তিনি অভিযোগ করেন দিদি টাকা নিয়ে যেতে না পারলে শশুর বাড়ির লোকেরা দিদির উপর অত্যাচারকরত। নিজামউদ্দিন জানান বছরখানেক আগে জামাইবাবুর দাবি মত অনেক কষ্ট করে তাকে একটি বাইক কিনে দিই। এরপর হঠাৎ জামাইবাবু নিজের কাপড়ের দোকান তুলে দিয়ে একটা টোটো কেনার মনোস্থির করে। নিজামউদ্দিনের অভিযোগ আমরা তাকে টোটো কিনে দেওয়ার পরেও বোনের উপর অত্যাচার কমেনি।
তিনি বলেন সোমবার সকালে দিদি ফোনে তার উপর অত্যাচারের কথা আমাদের বলে। পরে বিকালে দিদির শশুরবাড়ি থেকে ফোনে বলা হয় দিদি ঘরের ভিতর ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। নিজামউদ্দিন জানান ফোন পেয়ে আমরা বোনের শশুরবাড়ি গিয়ে বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তার অভিযোগ বোনের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের সন্দেহ বোনকে মারধর করে খুন করে ঠাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।